উখিয়ায় আটক হিজবুত তাহরির জঙ্গির নিশানায় ছিল পর্যটনস্থল, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

ডেস্ক রিপোর্ট •

বড়সড় নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেল কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র। ১৯মে বুধবার পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট(এটিইউ) এর জালে ধরা পড়ে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তহরিরের কুখ্যাত নেতা এইচ এম মেহেদি হাসান রানা (৩০)। কক্সবাজারের পর্যটনস্থলগুলিতে হামলা চালিয়ে মানুষের মনে ভয় তৈরির পরিকল্পনা করছিল ওই জেহাদি সংগঠনটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, দেশের বৃহৎ বিনোদন তথা পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল হিজবুত। আর এই কাজের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছিল রানা। জেহাদি সংগঠনটির আইটি বিশেষজ্ঞ দলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে সে। তার বাড়ি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জে।

পুলিশ জানিয়েছে, হিজবুত তহরিরের অনলাইন সম্মেলন ও প্রচার সংক্রান্ত কার্যকলাপ তদারকি করত রানা। সে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের একটি প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অ্যাসিসটেন্ট টেকনিক্যাল অফিসারের দায়িত্বে পালন করে আসছিল। রাজধানীর ফার ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি পাস করে।

বৃহস্পতিবার পুলিশের সন্ত্রাসদমন বিভাগের মুখপাত্র মহম্মদ আসলাম খান রানার গ্রেপ্তারির খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার পালংখালী এলাকা থেকে দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদি হাসান রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দেশের সংসদ ভবনে হামলার ছক ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত দুই সন্ত্রাসবাদীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানী ঢাকা ও রাজবাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ওই সদস্যদের পাকড়াও করা হয়। আলি হোসেন ওসামা ও মহম্মদ শাকিব নামের দুই জঙ্গি জাতীয় সংসদ ভবনে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। আল কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়-সহ ৯ জনকে হত্যা করেছে। কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদ রশিদ টুটুলকে।

সবশেষ ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল তারা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে খুন করে। নাজিমউদ্দিন সামাদ খুন হন ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে মুক্তমনাদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে আনসার। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। যার ফলে অনেকটাই কোণঠাসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি।